আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে।
টাঙ্গাইল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বড় মনি এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভ‚ঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগেরও সহ-সভাপতি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, গত সোমবার আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, তার (রানা) বড় ভাই আমিনুর রহমান খান বাপ্পির হত্যাকারী গোলাম কিবরিয়া বড় মনি এবং তার ছোট ভাই তানভীর হাসান ছোট মনির। এ ছাড়া তারা দুই ভাই (গোলাম কিবরিয়া বড় মনি ও তানভীর হাসান ছোট মনির) জার্মানিতে অস্ত্রের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন। অথচ আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যার সাত বছর আগেই তারা দুই ভাই জার্মানিতে চলে যান।
দেশে ফেরেন বাপ্পি হত্যার ঘটনার ৬/৭ বছর পর। বাপ্পি হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা আতাউর রহমান খান যে মামলা করেন সেখানে গোলাম কিবরিয়া বড় মনি বা তানভীর হাসান ছোট মনির কারও নাম ছিল না। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানেও তাদের কারও নাম নেই।
তা ছাড়া তারা জার্মানিতে মোটরগাড়ি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অথচ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনি ও তার পরিবারের সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে। এতে তারা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভির আহমেদ জানান, টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শুনানি শেষে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন।
গত ১ জুন তপন রবিদাস নামের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন আমানুর রহমান খান রানা তাকে রিভলবার ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ অভিযোগের মুখে আমানুর গত সোমবার একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্যে বড় মনি ও ছোট মনিরের সম্পর্কে অভিযোগগুলো করেন।